ক্রিয়া পদান্তে ও-কার
নিয়ে ঝামেলায় পড়েন না
এমন লোক বিরল।
এ ক্ষেত্রে লেখার নিয়ম-কানুন যারা
জানেন না তাদের
চেয়ে বেশি বিপদে
পড়েন যারা নিয়ম-কানুন জানেন
এবং মানার চেষ্টায় করেন তারাই। যিনি ক্রিয়া বোঝেন না, পদান্ত বোঝেন না তিনি
লিখতে বসে যখন
যেটা মন চায়
লিখে ফেলেন। যেমন, ছিল
লিখতে গিয়ে ও-কার দেব
কি না এটা
নিয়ে যার ভাবতে
হয় না তিনিই
আবার দাঁড়াল লিখতে গিয়ে
ও-কার দিয়ে
লিখে ফেলেন দাঁড়ালো। কিন্তু একই লেখকের এ দুটো শব্দকে দু’ভাবে লেখার
উপায় নেই। তাতে
বানানের সমতা রক্ষা
হয় না।
ক্রিয়া পদান্তে ও-কারের
ব্যাপারটা অবশ্য বানানভুলের পর্যায়ে পড়ে না।
কারণ কোনো ব্যাকরণগ্রন্থই দুটো
নিয়মের কোনোটাকেই কড়াকড়িভাবে ভুল বলেনি। তবে একজন সতর্ক
লেখকের এ বিষয়ে
সতর্ক থাকা আবশ্যক। নইলে তার পুরো
লেখায় সমতা রক্ষা
হবে না। এ
ব্যাপারে আমরা নিচের
নিয়ম মেনে চলতে
পারি।
ক্রিয়াপদের শেষ বর্ণে সব ক্ষেত্রে ও-কার ( ো) দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। যেমন : করছ, করেছ, করছিল, করেছিল, করত, করব, দাঁড়াল, আছ, গেল, ছিল, হব, খেত, যেত, পেত, পাব, দিল, দেব ইত্যাদি। বর্তমানে পালনীয় অনুজ্ঞা বা অনুরোধ অর্থেও ও-কার ব্যবহার করার দরকার হয় না। যেমন : তুমি আমার সঙ্গে চল। যা দেখেছ, ঠিক ঠিক বল। নিত্য বর্তমানে ক্রিয়াপদের শেষ বর্ণে ও-কার না থাকলেও সমস্যা হয় না। যেমন : তুমি যা যা বল, তার সব ঠিক নয়।
সমস্যা হচ্ছে, ও-কার বর্জন করে লিখতে লিখতে কোনো কোনো জায়গায় নিজেই খটকায় পড়বেন। কমে গেল অর্থে কমল লিখতে গিয়ে মনে হতে পারে যে শব্দটা তো কমল (পদ্ম, উচ্চারণ কমোল্) হয়ে গেল। এ ক্ষেত্রে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। আপনি নিয়ম ঠিক রেখে লিখুন, যিনি পড়বেন তিনি পড়তে গিয়েই বুঝে ফেলবেন কী লিখতে চেয়েছেন। আবার লইল অর্থে নিল লিখতে গিয়ে মনে হবে যে এটার উচ্চারণ নীল রঙের মতো হয়ে গেল না তো! অথবা দিল মানে হূদয় হয়ে যাবে না তো? এ ধরনের শব্দের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয় হল (হলো), হত (হতো), এল (এলো) এই তিনটি শব্দ নিয়ে। সে দুপুর তিনটায় জহুরুল হক হল থেকে বের হল। কী করবেন? এই সমস্যার কারণে অনেকেই এই শব্দ তিনটিতে ও-কার ব্যবহার করেন। কারণ হত বলতে বাংলায় আরেকটি শব্দ আছে, বিমান দুর্ঘটনায় ৬০ জন হত। এভাবে ইংরেজি এল অক্ষরটার সঙ্গে মিলে যায় বাংলা এল (এলো) শব্দটা। তবে আপনি যেটাই করবেন নিজেকে নিজে খুব শক্ত করতে হবে যে আমি এই নিয়ম মেনে চলবই, তারপর যা হয় হবে। আর যদি সেটা না পারেন তবে এ ধরনের দুয়েকটা শব্দে ও-কার ব্যবহার করুন, মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবে না। তবে মনে রাখতে হবে, যে শব্দটি যেভাবে লিখবেন আপনার পুরোয় লেখায় যেন সেটা সেইভাবে থাকে।
ক্রিয়াবিশেষ্যের ক্ষেত্রে শেষ বর্ণে ও-কার দিতে হয়। যেমন : করানো, পড়ানো, বলানো, থামানো ইত্যাদি। তাকে থামানো বড় কঠিন কাজ।
ভবিষ্যতে পালনীয় অনুজ্ঞা বা অনুরোধের ক্ষেত্রেও ক্রিয়াপদের প্রথম ও শেষ বর্ণে ও-কার বসালে ভালো হয়। যেমন, তুমি বাড়ি গিয়ে এই বইটি পোড়ো [পড়িও]।
ক্রিয়াপদের শেষ বর্ণে সব ক্ষেত্রে ও-কার ( ো) দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। যেমন : করছ, করেছ, করছিল, করেছিল, করত, করব, দাঁড়াল, আছ, গেল, ছিল, হব, খেত, যেত, পেত, পাব, দিল, দেব ইত্যাদি। বর্তমানে পালনীয় অনুজ্ঞা বা অনুরোধ অর্থেও ও-কার ব্যবহার করার দরকার হয় না। যেমন : তুমি আমার সঙ্গে চল। যা দেখেছ, ঠিক ঠিক বল। নিত্য বর্তমানে ক্রিয়াপদের শেষ বর্ণে ও-কার না থাকলেও সমস্যা হয় না। যেমন : তুমি যা যা বল, তার সব ঠিক নয়।
সমস্যা হচ্ছে, ও-কার বর্জন করে লিখতে লিখতে কোনো কোনো জায়গায় নিজেই খটকায় পড়বেন। কমে গেল অর্থে কমল লিখতে গিয়ে মনে হতে পারে যে শব্দটা তো কমল (পদ্ম, উচ্চারণ কমোল্) হয়ে গেল। এ ক্ষেত্রে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। আপনি নিয়ম ঠিক রেখে লিখুন, যিনি পড়বেন তিনি পড়তে গিয়েই বুঝে ফেলবেন কী লিখতে চেয়েছেন। আবার লইল অর্থে নিল লিখতে গিয়ে মনে হবে যে এটার উচ্চারণ নীল রঙের মতো হয়ে গেল না তো! অথবা দিল মানে হূদয় হয়ে যাবে না তো? এ ধরনের শব্দের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয় হল (হলো), হত (হতো), এল (এলো) এই তিনটি শব্দ নিয়ে। সে দুপুর তিনটায় জহুরুল হক হল থেকে বের হল। কী করবেন? এই সমস্যার কারণে অনেকেই এই শব্দ তিনটিতে ও-কার ব্যবহার করেন। কারণ হত বলতে বাংলায় আরেকটি শব্দ আছে, বিমান দুর্ঘটনায় ৬০ জন হত। এভাবে ইংরেজি এল অক্ষরটার সঙ্গে মিলে যায় বাংলা এল (এলো) শব্দটা। তবে আপনি যেটাই করবেন নিজেকে নিজে খুব শক্ত করতে হবে যে আমি এই নিয়ম মেনে চলবই, তারপর যা হয় হবে। আর যদি সেটা না পারেন তবে এ ধরনের দুয়েকটা শব্দে ও-কার ব্যবহার করুন, মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবে না। তবে মনে রাখতে হবে, যে শব্দটি যেভাবে লিখবেন আপনার পুরোয় লেখায় যেন সেটা সেইভাবে থাকে।
ক্রিয়াবিশেষ্যের ক্ষেত্রে শেষ বর্ণে ও-কার দিতে হয়। যেমন : করানো, পড়ানো, বলানো, থামানো ইত্যাদি। তাকে থামানো বড় কঠিন কাজ।
ভবিষ্যতে পালনীয় অনুজ্ঞা বা অনুরোধের ক্ষেত্রেও ক্রিয়াপদের প্রথম ও শেষ বর্ণে ও-কার বসালে ভালো হয়। যেমন, তুমি বাড়ি গিয়ে এই বইটি পোড়ো [পড়িও]।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন